উপন্যাস / অনুরাগের বীণা - অতঃপর কবিতা

অতঃপর কবিতা

আমি তোমার জন্য কতোটা করেছি সেটা যদি সহজ করে বলতে পারতাম তাহলে প্রকৃতি আমাকে অসম্পূর্ণ করে দিতো!! ......মিতুল আহমেদ।

কবিতা

উপন্যাস / অনুরাগের বীণা

অনুরাগের বীণা
মিতুল আহমেদ

অতঃপর কবিতা

১ম পর্ব
আজ ছুটির দিন সজল অর্পাকে বলেছিল তাকে নিয়ে ঘুরবে ও বাইরে খাবে সব শেষে অল্প কিছু সপিং করে বাড়ি ফিরবে!!! নতুন সংসার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে ওদের!! এখনিতো প্রেম করার সময়! কিন্তু সজলটা না খুব একটুও সময় দেয় না আমাকে শুধু কাজ কাজ আর কাজ কিছু বললেই বলে অনেক টাকা প্রয়োজন সংসারটা গোজগাজ করতে হবে তো ৷ রাত ১১ টাকা কলিং বেলটা বাজতেই ঘুমের ভাবটা কেটে গেল অর্পার, (মনে মনে ঐ এলেন এতোক্ষণে)

দরজা খুলতেই সজল মিষ্টি হাসি দিয়ে অর্পার রাগ ভাঙানোর চেষ্টা করলো কিন্তু তাতে অর্পা আরো ক্ষেপে গেল (হাজার হোক ছেলে তো সে কি মিষ্টি হাসি দিতে পারে) 
সজল: এই কি হলো সরি! সরি! শোন না? 
অর্পা: ঘরে নতুন বউ রেখে রাতদুপুর পর্যন্ত বাইরে থাকবে ৷ আর এসে 
       বলবে কি হলো!! 
সজল: অলে বাবা, আমার উপর এতো অভিমান ৷ 
অর্পা: এভাবে আমি থাকতে পারবো না, কালই বাবার ওখানে যাবো ৷ 
সজল: তাই নাকি? 
অর্পা: হুমম তাই! 
তারপর কথা বলতে বলতেই দুজনে খাওয়া সারলো ৷ সজল মনে মনে ভাবে পাগলিটা মুখে যায় বলুক মন থেকে আমায় খুব ভালোবাসে!!! 

সকাল ৭:৩০ ঘুম ভাংলো সজলের ফ্রেশ হয়ে, অফিসের জন্য রেডি হয়ে,
নাশতার টেবিলে আসলো নাশতা আছে পাগলিটা কই????? 
সজল: বউ,! বউ! কই, অরররর্পা! তুমি কোথায়?? 
কোন সাড়া নেই নিজের ঘরে ফিরতে চোখে পড়লো টেবিলের উপর একটি চিঠি!!!! তাতে লেখা আছে ............
সজল পড়তে শুরু করলো, 
আমি চললাম, তোমার খাবার রেডি আছে! খেয়ে নিও!! সজল তোমার 
মনে পড়ে প্রথম যেদিন ঘুরতে গেছিলাম তোমার সাথে সেদিন তোমার বারবার ফোন আসছিল কিন্তু তুমি বারবার আমাকে সময় দেওয়ার জন্য বার বার বলছিলে ব্যস্ত পরে কথা হবে, একপর্যায়ে ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলে! সেদিন আমি আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা,যত্ন,আর কর্তব্য দেখে অনেক 
খুশি হয়ে ঐ অতো গুলো মানুষের ভিড়ে তোমাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম ৷ তুমিবলেছিলে পাগলী একটা সবাই দেখছে!! আমি লজ্জা পেয়েছিলাম আবার খুশিও হয়েছিলাম ৷ এখন আমার প্রতি তোমার কোন ভালোবাসার প্রকাশ দেখি না আমি!! সব ভালোবাসা তোমার কাজের প্রতি ৷ দেখ টাকা কারো জীবন হতে পারে না ৷ যতোদিন আমার জন্য তোমার সময় হবে না ততোদিন 
আমাকে খুজো না ৷ আর হ্যা তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসি বলে এটা ভেবো নাযে ফিরে আসবো??!!! গভীর ভালোবাসা মানুষকে দূরে ঠেলে দেয় কথাটা তোমার জানা!!!
ইতি,
তোমার লাল ময়না!!

সজল কিছুক্ষণ মাথা নিচে করে কিছু একটা ভেবে হঠাৎই অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো!! তারপর কিছু একটা ভাবতে ভাবতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল ৷

২য় পর্ব

কলিং বেল এর শব্দে দরজা খুলে দিল অর্পা ৷ 
ম্যাডাম আপনার জন্য একটা চিঠি আছে, বলল কুরিয়ারের সার্ভিস ম্যান!! অর্পা : অবাক হয়ে বললো কেপাঠিয়েছে? 
ম্যান: ও নাম হ্যা এখানে তো সজল লেখা আছে ম্যাডাম ৷ 
অর্পা: দিন! চিঠি নিয়ে অর্পা রেখে দিল পড়ল না!!! 
বিকেল! 
সজল ফোন করলো অর্পা কে ! ফোন তুলে চুপ করে রয়েছে অর্পা ৷ সজল জানে রাগ হলে অর্পা চুপ করেই থাকে!! 
সজল: অর্পা? আমার একটা এ্যাকসিডেন্ট হয়েছে!! 
       তুমি জলদি পার্কের কাছে চলে এসো ৷ 
অর্পা: হ্যালো! হ্যালো! তাড়াতাড়ি করে বেরিয়ে গেল অর্পা!!!! 

এদিকে পার্কের বেঞ্চে বসে সজল তাদের ফেলে আসা দিন গুলোর কথা চিন্তা করতে থাকেপার্কের এই বেঞ্চ টা খুব প্রিয় অর্পার এখানেই তাদের সব 
থেকে বেশি রোমান্টিক সময় কেটেছে!!! হঠাৎই বৃষ্টি শুরু হলো  দৌড়ে 
গিয়ে একটা টং দোকানে বসলো সজল  তার মনে পড়ে গেল অর্পার বৃষ্টি 
খুব পছন্দ  এমনি একটা দিনে সজল আর অর্পা রিক্সা করে পাশাপাশি বসে ভিজেছিল আর ঘুরেছিল  সেদিন যেন অর্পার খুশি আর ধরছিল না  
আসলে মেয়েটার অনেক আবদার নেই ছোট ছোট আনন্দ গুলোর মধ্যেই 
নিজেকে অনেক খুশি রাখতে পারে  অর্পা কখনো বলে না আমার এটা চাই আমার ওটা চাই!!! আমার কাছে  শুধু একটু সময় চেয়েছে  এটা কি 
সত্যি খুব বেশি চেয়েছে আজকাল আর ওর দিকে তাকানো হয় নাওর লম্বা চুলের মস্ত খোপাটা আর দুষ্টুমি করে খুলে দিয়ে বলি না যে তোমার চুলগুলো সুন্দর!! ভেজা চুলে ওকে দেখে বলি না তোমার চুলের ঘ্রাণ আজ 
আমায় অফিসে যেতে দিতে চাইছে না!!! অফিস থেকে ফিরে ওকে জড়িয়ে 
ধরে আর আদর করা হয় না!!! দোকানির কথায় সজলের ভাবনায় ছেদ 
পড়লো!!! 
দোকানিআপনার চা  
সজল হ্যাদিন  
বৃষ্টি টা কমেছে কিছুক্ষণের মধ্যেই অর্পা এখানে পৌছবে!!! সজল একটু 
আড়ালে গেল  
একটা ট্যাক্সি এসে দাড়াল হাসপাতলের সামনে  অর্পা হন্তদন্ত হয়ে নেমে এলো সাথে সাথে সজল পিছন থেকে যেয়ে সামনে দাড়িয়ে ভাড়া টা দিল  অর্পার অভিমান আরো বেড়ে গেল!!! 
অর্পাতোমার এতোটা অধঃপতন!! শেষ পর্যন্ত মিথ্যা বললে
সজলকেন তোমাকে যে চিঠি পাঠিয়েছি সেটা পড়নি
অর্পাকথাই বলব না তোমার সাথে!! তুমি কি করে এতোটা বদলাতে 
      পারো
সজলকথা বলা লাগবে না!! এই ধরো তোমার ব্যাগ
অর্পাকিসের ব্যাগ?? 
সজলতোমার আর আমার কক্সবাজার যাওয়ার সব ব্যবস্থা পাকা!!!              ২০মিনিট পরেই আমাদের বাস!! চলো  
অর্পাতাই বলে তুমি এ্যাকসিডেন্ট এর খবর দেবে?? এমন কথা আর 
       কখনো বলবা না বলো?!! 
আর আগেই টিকিট কেটেছো কেন যদি আসতে দেরি হতো তাহলে??? 
সজলতাহলে আর কি আমার বান্ধবী রুবি কে নিয়ে চলে যেতাম!!! 
অর্পাতবে তাই যাও!! আমি যাবো না!! 
সজল ফোন নিয়ে বলতে লাগলো হ্যালো রুবি তুমি কত দূর!! 
যাওয়ার সময় তো হয়ে এলো!! ওদিক থেকেহ্যা হ্যা  মিনিটে পৌছে 
যাবো তুমি ওখানেই থাকো আমি পথে .. এসব শুনে অর্পা তো রেগেমেগে 
চলে যাচ্ছে রুবি ওকে বাধা দিল,
রুবিভাবি! ভাবি কেমন আছেন
অর্পাভালো তুমি
রুবিভালোআপনার বাদরটা তো মানুষ হয়ে গেছে আপনার জন্যইতো 
এই ভ্রমন প্যাকাজে আসাআপনি কত লাকি তাই না?
অর্পাহুমম তা বলতে পারো (আড় চোখে সজলের দিকে তাকিয়ে
রুবিএই যে আমারটাকে দেখুন না আমার জন্য তার কোন সময়ই নেই!!!অর্পাকেমন আছেন ভাই সাহেব
রুবির বরভালো
সুপারভাইজারের হাক এখনই বাস ছাড়বে চলে আসুনচলে আসুন

সবাই মিলে যাত্রা শুরু করলো ...............!!!!!!!!!!

৩য় পর্ব

সকাল ৩০ ক্যান্টিনে বসে অর্পা আর রুবি!! সজল আর অপূর্ব (রুবির বরএকসাথে ঢুকলো ..... 
রুবিএখন আসার সময় হলো? (অপূর্ব সজলের কানে মুখ রেখে ফিস ফিস করে বললো সামলাও এবার
সজলসরি সরি এবারের মত ছেড়ে দাও প্লিজ!! 
রুবিআচ্ছা ভাবি ভেবেছিলাম সজল আপনাকে সময় দেয়কিন্তু বেড়াতে এসে দেখছি একে বারে উল্টো!! 
অর্পা চুপচাপ অভিমান টা কমেনি এখনো মনে হয় আমাকেই কিছু একটা 
করতে হবে (মনে মনে সজল
১১টা দুজন একসাথে বিচে হাটছে সজল আর অর্পা ঝাউবনের ধার দিয়ে 
অর্পা খেয়াল করলো সজলের মনটা ভার কিছু বলতে গেল কিন্তু বলা হলো না নিরব দুজনায়  অশেষে নিরাবতা ভাঙলো সজল বলে উঠল 
সজলএই দেখ দেখ কি সুন্দর নীল আকাশ (যদিও সজলের ইচ্ছা শুধু 
নিরাবতা ভাঙাই ছিল কিছু দেখানো নয়তবু অর্পা চুপ!!!! কোন কথা নেই!! হঠাৎই সজল অর্পার পছন্দের বেলি ফুল তার খোপায় পরিয়ে দিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি পাগলীটাকে!!! রাগ করো না প্লিজ!! অর্পা এতোক্ষণে মুখ খুললো 
অর্পাতা মশায় এতো ভালোবাসা রাখেন কই দেখি না তো কখনো ?
সজলআমার সব ভালোবাসা থাকে এক রাজ কন্যার কাছে!!! 
অর্পাতা সে এতো ভালোবাসা দিয়ে কী করে?? 
সজলতাই ভাবছি জানো তার জন্য একটা কাউকে এনে দিতে হবে তাহলে 
        আর ভালোবাসা পড়েথাকবে না কাজে লাগবে আর রাজ কন্যাও ভালো 
         থাকবে,
অর্পারাজ কন্যার একটা ছোট্ট রাজ পুত্র চাই!!! 
সজলনা একটা রাজ কন্যা চাই
অর্পাআচ্ছা বাবা!! কন্যা বা পুত্র যে কোন একটা হলেই হবে!!! 
সজলতাহলে এবার খুশি তোআমাকে ছেড়ে যাবে না তো
অর্পাযাবো (বলেই দৌড়
সজলকিদাঁড়াও ধরি একবার  
ঝাউবন নির্জন দুপুর বেলা লোকজন কম  সজল অর্পা কে জড়িয়ে ধরে আদরকরতে যাবে!! অর্পা বললো এই লোক জন দেখছে দেখ দেখ না
সজল এদিকে তাকাতেই অর্পা দৌড় দিল সোজা হেটেলে!!! 

সজল চেচিয়ে বলে দিল পরে আসছে!!

সমুদ্রের বিশাল ঢেউ এর সামনে বসে সজল ভাবছে অর্পার কথা  অনেক 
দিন থেকেই বলছে একটা বেবির কথাআসলে আমি ব্যস্ত ওর সময় গুলো কাটে বড্ড একঘেয়েমি তে এই জীবনটার প্রতি যেমন  বিরক্ত তেমনি 
আমিও  এখন থেকে কাজ এর পাশা পাশি সংসার  করবো হ্যা জমিয়ে 
সংসার করবো  এসব ভাবতে ভাবতে সময় গড়িয়ে গেল খাবার সময় হলোঅর্পার ফোন ........... 
তুমি কই খেতে আসো আমি ক্যান্টিনে বসে আছি 
সজলআসছি
অর্পাতাড়া তাড়ি আসো!!!!!

৪র্থ পর্ব

দুপুরের খাবার শেষ করে দুজনে একটু বিশ্রাম নেওয়ার ঘুমাতে গেলসকালথেকে বেশ হাটাহাটি করে ক্লান্ত ওরা!! বিকেল বেলা সূর্যাস্ত দেখার কথা রুবিআর অপূর্ব বিচে দাঁড়িয়ে সজলদের অপেক্ষা করছে  এদিকে দুজনের ঘুম 
আর ভাঙে না!! রুবি ফোন করলো সজলকে ..........!!!! ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙলো দুজনার  
সজল ফোনটা উঠালো ... হ্যালো
রুবিকি ব্যাপার রে!! তোরা কি এখানে ঘুমো তে এসেছিস!! 
সজল মিনিটে আসছি!! সরি রে সরি!! 
রুবিসূর্য তোদের জন্য অপেক্ষা করে আছে!! 
সজলআসছি রাখ!!! 
অর্পা বললো চলো!! 
সজল অর্পার দিকে তাকিয়ে বললো বাব্বা এর মধ্যেই রেডি আজ কি হলো তোমার!!! 
সজলশোনো না!! 
অর্পাদেরি হচ্ছে চলো সূর্যাস্ত দেখতে পাবো না তো  
সজলহানিমুনে এসে কেউ সূর্যাস্ত দেখে না! (অর্পার হাত দুটো ধরে
অর্পা: (দুষ্টমি করেতাহলে কি করে মশাই!!! 
সজল:(অর্পাকে ঘুরিয়ে দিয়ে জড়িয়ে ধরে
বউ কে বর আদর করতে আর বরকে বউ আদর করতে আসে!!! 
অর্পাবাব্বা মশায়ের মাথা ঠিক আছে তো আমি ভুল শুনছি না তো
      নাকি পেট গরম হলো!! ঢং না করে চলো!!!! 
সজল ঝটপট রেডি হয়ে অর্পাকে নিয়ে বিচে গেল!!!! গোধূলি বেলা সূর্য যেনপানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে!!! একটু হাটাহাটি হলো তারপর ক্যান্টিনে এসে 
হালকা কিছু নাস্তা করলো ওরা  গল্পে আড্ডায় ঘুরাঘুরি তে সময়টা বেশ কাটলো  রাত ১০টা খাবার শেষ করে বেলকুনিতে এসে বসলো সজল আর অর্পা!! আকাশে বিশাল চাঁদ যেন ওদের জন্যই আজ চাঁদ আকাশটা আলো 
করে আছে অর্পার কতদিনের শখ এমন রাতে সজলের সাথে সারা রাত গল্প করবে!!! 
জলআরে বাহ!! আজ ষোল কলা পূর্ণ!! দেখেছো কত বড় চাঁদ!!! 
অর্পাতোমার কি হলো বলোতো!!! আজ একদম অন্য রকম!!! 
সজলঅর্পার কোলে মাথা রেখে সোজা হয়ে শূয়ে বললো আজ গল্প করার সেই সময় মনে পড়ে তোমার??? 
অর্পাবাব্বা মনে আছে তোমার আমিতো ভাবলাম আমার সেই বরটাকে 
আর পাবোনা কখনো
সজলশোন বলি তোমায় আমি আর কখনো তোমাকে এমন ভাবে একা 
করবো না  ভেবেছি সংসার টা এবার জমিয়েই করবো  
তুমি অনেক ধৈর্য ধরেছো!!! তুমি আমাকে সুখের সন্ধান দিয়েছো!!!! 
আমাকে তোমার করে শক্ত করে ধরে রেখেছো  এখন থেকে আমিও 
তোমাকে ধরে রাখবো আমার করে!!! অনেক আদরে ধরে রাখবো!!! 
অর্পাসজলের মাথায় বিলি কাটতে              
      কাটতে বললো আজ সত্যি আমি আমার সজল কে পাচ্ছি!!! 
সজলআমার লালময়না টাকে আমি এখন আরো লাল করে তুলবো!!! (এই বলে অর্পাকে কোলে তুলে নিয়ে বেড রুমে ঢুকলো সজল!!!!) 
অর্পাএই কি হলো!!! কি করছো পড়ে যাবো নামাও!!! 
সজলনা নামাবো না!! যখন তোমার কোলে মাথা রাখলাম তোমার 
শরীরে গন্ধ আমাকে ব্যাকুল করে তুলেছে!!! এখন আমাকে থামিও না!!! 
অর্পাহুমম রাত দুপুরে পাগলামি শুরু করলে!!! 
সজলআমি এই পাগলামি সারাজীবন করতে চাই!!! 
অর্পাদেখ কি করছো না না নমমম!!!! 

শুধু দুজনার নিশ্বাসের শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই!! সজল তার ঠোঁট দিয়ে অর্পার মুখের শব্দ বন্ধ করে দিয়েছে!!!

সকাল বেলা অর্পা রেডিসজলের মাথার চুলে হাত বুলিয়ে ডাকছে অর্পা এই ওঠোওঠো না!! 
সজলহাতটা ধরে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বললো আর একটু!!! 
অর্পাবেলা হয়ে গেছে একটু পর আর নাস্তা পাওয়া যাবে না!! ওঠো!! 
সজল ঝটপট উঠে রেডি হয়ে নাস্তা খেতে বের হলো দুজন মিলে!! 
 দিন পর .......>>>>>>>>>>>>>>> 
অর্পার কেমন জেন লাগছেদুর্বল দুর্বল!! আজ ফিরতে হবে মনটা খারাপ এই ভেবে যেসজল আবার ব্যস্ত হয়ে পড়বে সে আবার একা হয়ে যাবে!!! এসব ভাবছে আর প্যাক করছে হঠাৎই মাথাটা ঘুরে উঠলো অর্পার!!! 
কিছুক্ষণ বাদে শরীরটা গুলাতে শুরু করলো!! সজল একটা ডাক্তার ডাকতে বললো হটেল বয় কে  ডাক্তার সব দেখে কিছু টেস্ট দিলো!! সজল টেনশনে পড়ে গেল  দেরি না করে হাসপাতলে গিয়ে টেস্ট গুলো করালো ওরা!!! ডাক্তারদেখি রিপোর্ট গুলো 
সজল,এই যে স্যার!! 
ডাক্তারমিষ্টি খাওয়ান??? আপনি বাবা হতে চলেছেন!!!!!! 
সজলসত্যি??? খুশির সংবাদে সজল ডাক্তারের সামনেই অর্পাকে জড়িয়ে ধরলো!!! 
সজলসরিসরি সরি!! 
ডাক্তারইট ওকে!! 
সমুদ্র ভ্রমনের এই অনুরাগ ভরা দিন গুলি সজল  অর্পার সারাজীবন মনে থাকবে তাদের অনাগত সন্তানের জন্য  
অর্পার শূণ্যতা আজ পূর্ণতা লাভ করলো...........

<<<<<<সমাপ্ত >>>>>>

No comments:

Post a Comment