স্মৃতির সন্ধ্যাগুলো
মিতুল আহমেদ
৩য় পর্ব
পরের দিনে সকালে ঘুম ভেঙেই আবারো রাতের ভাবনা গুলো চেপে বসলো ঝিনুকের মনে ! আচ্ছা ওকি বোঝে না আমি ্ওকে পছন্দ করি? আর কতো করে কতো রকম ভাবে ওকে বোঝালে বুঝবে গাঁধাটা।মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় ওর বুকের উপর দুমদাম কিল বসিয়ে দেই।কিছুই বুঝতে চাই না গাঁধাটা।ছোট বেলা থেকেই উদাস।মাঝে মাঝে যা রাগ ওঠে না।তবে কিছু যে খেয়াল রাখেনা তা কিন্তু নয়।প্রতিটি সন্ধ্যা ওর সাথে কেটেছে অনেক আনন্দ আর মজায়।প্রতিটা সন্ধ্যা যে প্রাণ বায়ুতে ভরাছিল।জানি না আর কতো দিন এমন করে কাটবে সন্ধ্যাগুলো।
-----ঝিনুক! ঝিনুক! এতো বেলা হয়ে গেল এখনো ঘুম ভাঙ্গলো না তোর।
(মায়ের ডাকে ঝিনুকের ভাবনায় ছেদ পড়লো।)
ঝিনুক: যাই।
মা: তাড়াতাড়ি ওঠ মুশফিক তো সেই কখন এসে বসে আছে।
(ঝিনুক মনে মনে, বাহ গাঁধাটা সকাল সকাল চলে এসেছে)
দ্রুত তৈরি হয়ে খাবার ঘরে আসলো ঝিনুক।আজ সে একটা আসমানি রঙের শাড়ি পড়েছে। কানে লম্বা ঝুমকো দুল, চুল গুলো খোলা, কি অপুর্ব লাগছে ঝিনুককে। মনে হচ্ছে এই মাত্র সচ্ছ জলে ফুটে ওঠা পদ্ম ফুল যার উপর এখনো পানির কয়েকটা ফোটা চিক চিক করছে।
ঝিনুক: কি রে ? তুই কখন আসেছিস?
মুশফিক: সেই কখন। এখনো এতো বেলা পর্যন্ত ঘুমাচ্ছিস তোর তো কপালে বিপদ আছে।তোকে তো কেউ বিয়েই করবে না।
ঝিনুক: আ্মার বিয়ের চিন্তা আমি করবো তোর কি?
--: চল তাহলে বের হই এখন।
--: কোথায়?
--: কেন কাল যে বললাম এখানকার নতুন পার্কটাতে যাবো।
--; এখন না। পরে যাবো।
--: ঠিক আছে তাহলে থাক তুই আমি চললাম।
--: এই কোথায় যাচ্ছিস তুই?
--: বন্ধুদের সাথে দেখা করতে!
--: হুম যা বিকেলে যাবে এসে নিয়ে যাস কিন্তু।
--: হুম না আসলে ফোন করিস কিন্তু।
মুশফিক চলে যেতেই আবারও ভাবনা ঘিরে ধরলো ঝিনুক কে।
৪র্থ পর্ব
একা একা সময় যেন আর কাটতেই চাই না।সারাটা দিন কোন কাজেই মন বসাতে পারেনি ঝিনুক।কখন আসবে সেই চিন্তা আর আজ কি ও আমায় কিছু বলবে এই ভেবে ভেতরে ভেতরে বেশ উত্তেজিত হয়ে আছে ঝিনুক।
এদিকে মুশফিক দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরেছে ্পুরোদিনের বন্ধুদের সে কাছে পেয়ে কখন যে সময় ফুরুত করে পার হয়ে গেছে সে বুঝতেই পারেনি।
বিকাল ৪টা মুশফিকের ফোন বাজছে, ফোনটা তুলতেই দেখে ঝিনুকের ফোন।
মুশফিক: হ্যালো।
ঝিনুক: কখন আসবি ৪টা তো বেজে গেছে।
--; আসছিরে একদম ফুলে গেছি রে। এখননি আসছি।
বাকি অংশ আসছে..........
No comments:
Post a Comment