গল্প - অতঃপর কবিতা

অতঃপর কবিতা

আমি তোমার জন্য কতোটা করেছি সেটা যদি সহজ করে বলতে পারতাম তাহলে প্রকৃতি আমাকে অসম্পূর্ণ করে দিতো!! ......মিতুল আহমেদ।

কবিতা

গল্প

টুনটুনিদের গল্প

মিতুল আহমেদ

অনেক দিন পর টুনাটুনি দুজনেই বেশ খুশি । এই খুশির কারন তাদের ঘর আলো করে এসেছে তাদের সন্তান ।
টুনটুনিদের গল্প
 আমি বাবা-মার একমাত্র সন্তান আমার নাম “টুনটুনি” । আমাকে নিয়ে তাদের আনন্দের সীমা ছিলনা।


আমাকে নিয়ে তাদের খুশি যেন আর ধরে না । আমি আস্তে আস্তে বড় হই । আমার শিক্ষা ও আত্মরক্ষার জন্য বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন বাবা-মা । বাবা-মা আমার শিক্ষা ও আত্মরক্ষার জন্য নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে নেয় । মা আমার শিক্ষার দায়িত্ব ও বাবা আমার আত্মরক্ষার কৌশল শেখানোর দায়িত্ব নেয় । আমি খুব দ্রুত শিখতে থাকি ও ভালোফল করতে শুরু করি । সমান ভাবে বাবার কাছে আত্মরক্ষার কৌশল ও আমি আয়ত্ব করে নিই । বাবার সাথে আমি ঘুরতে যাই এখানে সেখানে । একদিন আমি বাবার সাথে এমন একটা জায়গায় ঘুরতে গেলাম সেখানে অনেক সুন্দর প্রাণীর বাস । আমার জায়গাটি খুব পছ্ন্দ হলো । আমি আনন্দ বাবাকে অনেক ধন্যবাদ জানালাম এমন এটা স্থানে নিয়ে আসার জন্য ।অনেক ঘুরাঘুরির পর দুজনেই বাড়ি ফিরি আমরা । রাতে আমি খুব ভাবি ঐ প্রাণীগুলো নিয়ে । আজ সকাল সকাল আমি আবার একা একা চলে যায় সেই জায়গায়! আমি দেখি প্রাণী গুলো একজন আরেক জনের সাথে কথা বলে, হাসে, কাঁদে, ও খেলা করে । আমার এদের সবাইকে খুব পছন্দ হয় । আমি দূর থেকে তাদের দেখি! সামনে যেতে খুব ভয় হয় যদি এরা আমার কোন ক্ষতি করে! এমন ভাবে চলছিল ভালোই একদিন আমি দেখলাম সবাই একে অপরের সাথে মারামারি করছে । আমার মারামারি পছন্দ নয় তাই আমি ভয়ে ঐ স্থান ত্যাগ করলাম । আমি বাবাকে এসে সব বল্লাম । বাবা আমাকে হঠাৎই ঐ লোকালয়ে যেতে নিষেধ করলেন । কিন্তু আমার তো তাদের খুব ভালো লাগে! আমি লুকিয়ে লুকিয়ে সেখানে যেতে থাকলাম ও পছন্দের প্রাণী গুলোকে দুচোখ ভরে দেখতাম । ঐ প্রাণীদের আমার মত কোন ডানা নেই! তাদের আছে দুটো হাত ও দুটো পাঁ চোখ মুখ কান সবই আমার থেকে ভিন্ন । আমি ভাবলাম বাবাকে বলব যে, “আমি তাদের সাথে খেলতে চাই” । এরা তো আমার কোন ক্ষতি করে না । এরা এত ভালো তাহলে বাবা কেন তাদের কাছে আসতে নিষেধ করল! না বাবাকে আর বলা যাবে না তাহলে বাবা বকবে! আমিই তাঁদের বলব যেন আমার সাথে খেলা করে তাঁরা । যেই ভাবা সেই কাজ যখনই আমি তাদের কাছে গেলাম অমনি সবাই মিলে আমাকে ধরার জন্য দিল তাড়া । আমি ভয়ে বাড়ি ফিরে চিন্তায় পড়ে গেলাম কি করবো । অনেক ভাবার পর ঠিক করলাম তাদের কাছে গেলে কি হয় দেখি না । পরের দিন আমি নিজে থেকে তাদের কাছে গেলাম । তারা আমাকে নিয়ে খাচায় বন্ধ করে রাখলো । এতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছিল । আমি যতই তাদেরকে ছেড়ে দিতে বলি তারা সবাই আমার কথা শুনে হাসাহসি করে কিন্তু আমাকে ছেড়ে দেয় না কারণ তারা তো আমার ভাষা বুঝতে পারে না । কি আজব প্রাণী এরা! আমার কোন কথাই বোঝেনা! কিছুক্ষণ পর সবাই মিলে আমাকে মারার আয়োজন করল । সবাই বলাবলি করছিল আমাকে দিয়ে তারা চড়ূইভাতি করবে! আমি তোমাদের ভালোবাসি । তোমাদের পছন্দ করি আমি তোমাদের কোন ক্ষতি করিনি আমি তোমাদের সাথে খেলতে চাই আমাকে মেরো না বলতে বলতেই আমার মৃত্যু হলো । সাথে সাথে শেষ হলো এক টুনাটুনির সপ্নের ।
শেষ হলো এক আজব প্রাণীর প্রতি টুনটুনিদের ভালোবাসার!!!




No comments:

Post a Comment